টাকা পে কার্ড অনলাইনে আবেদন করুন taka pay card apply online, taka pay card, টাকা পে কার্ড বাংলাদেশ ব্যাংক, টাকা পে কার্ড আধুনিক সময়ে ডিজিটাল পেমেন্টের অবস্থা একটি নতুন পর্বে পৌঁছাচ্ছে। এই সময়ে টাকা পে কার্ড (TakaPay) অনলাইনে আবেদন করতে একটি জনপ্রিয় অপশন হয়ে উঠছে। এই নতুন পেমেন্ট সলিউশনটি ব্যবহারকারীদের মধ্যে দ্রুত পৌঁছাচ্ছে এবং এটি অনলাইনে আবেদন করা সহজ এবং সহজ। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে জানবো কিভাবে আপনি taka pay card apply online আবেদন করতে পারেন এবং এর সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে।
টাকা পে কার্ড কি?
টাকা পে (TakaPay) কার্ড হচ্ছে একটি ব্যাংক ডেবিট কার্ড, যা বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা নিজস্ব National Payment Switch Bangladesh (NPSB) এর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই কার্ড দ্বারা ব্যবহারকারীরা দেশের অভ্যন্তরে মুদ্রার লেনদেন করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য প্রস্তুতি নেবেন। এটি একটি লোকাল ডেবিট কার্ড, যা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও ব্যবহার হয়, এর মধ্যে ভারতের RuPay, শ্রীলঙ্কার LankaPay, পাকিস্তানের PakPay, সৌদি আরবের Mada ইত্যাদি সহ অনেক দেশের মতো।
কীভাবে কাজ করবে ‘টাকা পে’ কার্ড?
বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নতুন পণ্যটি ভিসা, মাস্টারকার্ড, এবং অ্যামেক্সের মতো আন্তর্জাতিক কার্ড সেবার একটি স্থানীয় বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি পুরোপুরি দেশীয় মধ্যস্থতায় চলবে এবং এতে খরচ ও কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক, বেসরকারি খাতের দি সিটি ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক টাকা পে কার্ড সেবা চালু করছে। এটির মাধ্যমে গ্রাহকরা বিভিন্ন কাজে অনলাইনে লেনদেন করতে পারবেন, যেমন বিপণি, বিল পরিশোধ, এবং অনলাইন শপিং এর জন্য।
টাকা পে কার্ডের সুবিধা
TakaPay কার্ডের ব্যবহারের সাথে সাথে অনেক সুবিধা যোগান হয়েছে। এই কার্ড ব্যবহারের জন্য কোন বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হবে না, এবং এর ফি তুলনামূলকভাবে কম হবে। যেখানে অন্যান্য আন্তর্জাতিক কার্ডের ব্যবহারে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হয়। এছাড়া, এই কার্ড দিয়ে লেনদেন করার সুবিধা বেড়ে যাচ্ছে, এবং আন্তর্জাতিক লেনদেনে এটি ব্যবহার করা যাবে।
এর অধিকাংশ সুবিধার মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হচ্ছে ডলারে লেনদেন করতে এই কার্ডে কোন খরচ প্রযোজ্য হবে না। এই সুবিধা অন্যান্য আন্তর্জাতিক কার্ডের সাথে তুলনা করে এই কার্ডটিকে একটি আকর্ষণীয় অপশন হিসেবে তুলে ধরছে।
- বৈদেশিক মুদ্রা খরচ নেই:
টাকা পে কার্ড ব্যবহারের সময় আপনার কোন বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করতে হবে না। এটি শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরে ব্যবহার করা যাবে এবং বিদেশে লেনদেন করতে হলে আপনার ইন্টারন্যাশনাল কার্ড ব্যবহার করতে হবে। - কার্ড ব্যবহারের খরচ কম:
টাকা পে কার্ড ব্যবহারের সময় আপনি অন্যান্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ডগুলির তুলনায় কম খরচ দেখতে পাবেন। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে এবং তাই এর ব্যবহারের ফি অত্যন্ত মিনিমাম রাখা হয়েছে। - ব্যবসাই সুবিধা:
ব্যবসায়িদের জন্য টাকা পে কার্ড একটি আপনাকে অধিক কাজে বসা যাওয়ার অপportunity সৃষ্টি করে। ব্যবসায়িদের কাছে এটি আপনার ব্যবসা লেনদেনের প্রক্রিয়াগুলি সহজ এবং সহজবোধ্য করে। - অন্যান্য দেশেও ব্যবহার করা যাবে:
টাকা পে কার্ডের সুবিধা হলো এটি একটি ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড, তাই এটি শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরেই ব্যবহার করা যাবে না। ভবিষ্যতে ব্যবসা ও আইনি কারণে এটি বিদেশে ব্যবহার করা যাবে এবং এটি আপনার আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য একটি সুবিধাজনক উপায় হতে পারে। - টাকা-পে কার্ডের কম ফি:
টাকা পে কার্ড দিয়ে লেনদেন করতে গুরুত্বপূর্ণ একটি সুবিধা হলো এই কার্ডটি আপনার লেনদেন ফি কম করতে সহায় করে। এটি একটি ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ ব্যবহার করে এবং তাই এর ব্যবহারের ফি অত্যন্ত মিনিমাম হয়েছে। এটি আপনার কার্ড ব্যবহার করার জন্য একটি অভ্যন্তরীণ অথবা বাহ্যিক ফি এবং লেনদেনের মোট খরচ কমাতে সাহায্য করে। - অনলাইন শপিং:
টাকা পে কার্ড দিয়ে অনলাইন শপিং করতে এটি একটি অসাধারণ সুবিধা সরবরাহ করে। আপনি এখন অনলাইন মাধ্যমে বিভিন্ন দোকানে থাকার প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা যাবেন এবং এটি খুব সহজেই কার্ড দিয়ে পেমেন্ট করতে পারবেন। - ডলার খরচ নেই:
টাকা পে কার্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এই কার্ডটি দিয়ে লেনদেন করার জন্য আপনার কোনও বিদেশী মুদ্রা খরচ করতে হবে না। যেখানে অন্যান্য ইন্টারন্যাশনাল কার্ডগুলি ব্যবহার করলে আপনার কার্ড হোল্ডার দিতে হয় বিদেশি মুদ্রা যা এই কারণে অধিক খরচ হয়।
টাকা পে কার্ডের অসুবিধা
তবে, টাকা পে কার্ডের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে, যেগুলি মনে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি Local Debit Card, অর্থাৎ এটির ব্যবহার কেবল এবং মাত্র দেশের অভ্যন্তরে সীমিত। আরও, এই কার্ডের মাধ্যমে International E Commerce site থেকে কেনাকাটা করা যাবে না। এই কারণে এটি তাদের জন্য একটি প্রাথমিক অপশন হিসেবে উপযোগী হয়ে উঠতে পারে, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে বা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের পন্য কেনার জন্য আগ্রহী।
টাকা পে কার্ড অনলাইনে কোন ব্যাংকগুলি আবেদন করা যাবে
এখন আসি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে – টাকা পে কার্ড অনলাইনে কিভাবে আবেদন করতে হয়।
আবেদন করতে যে ব্যাংকগুলি সমর্থন করছে: টাকা পে কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে আপনার একটি নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে নিম্নের ব্যাংকগুলির মধ্যে একটিতে:
- Brac Bank
- Islami Bank
- Eastern Bank
- Sonali Bank
- UCB Bank
- City Bank
- Dutch Bangla Bank
- Mutual Trust Bank
টাকা পে কার্ড অনলাইনে আবেদন করুন কিভাবে আবেদন করবেন?
‘টাকা পে’ কার্ডের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হলে কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে।
অনলাইনে যান: প্রথমে আপনার প্রদত্ত ব্যাংকের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যান এবং ‘টাকা পে’ কার্ড আবেদন ফরম পূরণ করুন।
প্রস্তুতি করুন: আবেদনকৃত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করুন, যাতে কার্ড এবং আপনার অ্যাকাউন্টের তথ্য সঠিক হয়।
যাচাই করুন: আবেদনটি জমা দেওয়ার পর, ব্যাংক আপনার সব তথ্য যাচাই করবে এবং আপনাকে একটি কার্ড নাম্বার প্রদান করবে।
প্রাপ্ত করুন: আপনার আবেদন সঠিক এবং যাচাই হলে, ব্যাংক আপনার ‘টাকা পে’ কার্ডটি তৈরি করবে এবং তা আপনাকে প্রদান করবে।
ব্যবহার করুন: আপনি এখন আপনার ‘টাকা পে’ কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন, যেখানেই এটি গ্রহণযোগ্য থাকবে, এবং সহজেই অনলাইন এবং অফলাইন লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবেন।
এই সুবিধা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
টাকা পে কার্ডের এই অনলাইন সুবিধা গুলি একাধিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, এটি লোকদের জীবনকে সহজ করবে এবং সময় সংরক্ষণ করতে সাহায্য করবে। আগামীকাল থেকে লোকেরা এই কার্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন লেনদেন সম্পন্ন করতে পারবে, যেমন এটিএম থেকে টাকা তুলতে।
দ্বিতীয়ত, এই কার্ডে দ্বির্বিধানুক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে, যা এটির নিরাপত্তাকে উন্নত করে তুলতে সাহায্য করতে পারে। এই প্রযুক্তি দ্বারা ব্যক্তিগত তথ্য এবং লেনদেন সুরক্ষিত রেখে থাকা হয়, যা অস্ত্রপ্রযুক্তির সময়ে গোপনীয়তা সংরক্ষণে মদ্দত করতে পারে।
টাকা পে কার্ড বিষয়ে প্রশ্ন ও উত্তর:
১. কেন টাকা পে কার্ড ব্যবহার করবেন?
আন্তর্জাতিক লেনদেন: টাকা পে কার্ড দিয়ে আপনি আন্তর্জাতিকভাবে লেনদেন করতে পারবেন, এবং বিদেশি মুদ্রায় লেনদেন করতে পারবেন সহজে এবং খরচ কমিয়ে।
অনলাইন শপিং: টাকা পে কার্ড দিয়ে অনলাইন শপিং করতে পারবেন সহজে এবং সুরক্ষিতভাবে।
ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক লেনদেন: এই কার্ড দিয়ে ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক লেনদেন সহজে ও সুরক্ষিতভাবে করতে পারবেন।
২. কিভাবে সুরক্ষিত থাকবেন?
পাসওয়ার্ড এবং পিন: টাকা পে কার্ড ব্যবহার করতে হলে পাসওয়ার্ড এবং পিন ব্যবহার করুন এবং এগুলি আপনার ব্যক্তিগত ও সুরক্ষিত থাকতে সাহায্য করবে।
সুরক্ষিত লগইন: অনলাইনে লগইন করার সময় সুরক্ষিত ও আমার নিজের ডিভাইসে হওয়া নিশ্চিত করুন।
আমি একটা গাড়ি কিনতে চাই। আমার বিশ হাজার টাকা খুব প্রয়োজন